সিকিমের ” সুমবুক ” (অফবিট গন্তব্য) :-
         দক্ষিণ সিকিমের একটি অনাবিষ্কৃত বা অপরিচিত ডেস্টিনেশান সুমবুক স্তম্ভিতকারী উদ্ভিদকূল এবং বন্য প্রাণীকূলের দ্বারা অলংকৃত । শিলিগুড়ি এনজেপি থেকে এর দূরত্ব প্রায় 69 কিমি। নামচির কাছাকাছি অবস্থিত এই সুমবুক গন্তব্যটি দুটি অংশে বিভক্ত। সুমবুকের নিম্ন অংশ প্রায় 1,500 ফিট উচ্চতায় টেম্পারেট অরন্য দ্বারা আবৃত। যেখানে পাখির প্রাচুর্য রয়েছে। উচ্চ অংশটি প্রায় 7,000 ফিট উচ্চতায় পাইন ফরেস্ট এবং ফার বা দেবদারূ গাছ দ্বারা ঢাকা। এছাড়া গ্লাডিওলাস ফার্ম, মনেস্ট্রি, প্রায় 200 প্রজাতির পাখির সমাগম, অগণিত প্রজাপতির বিচরনক্ষেত্র এবং রঙ্গীত নদী এখানকার আকর্ষণ। লোয়ার সুমবুকে প্রথম ভ্রমণ এবং  কোলমপাল রকি পর্বতমালা ভ্রমণকালে ভগবান শিবের সুমবুক শিবালয় দর্শন করা যাবে। এছাড়া এই অংশে এখানকার ভিউ পয়েন্ট থেকে অনেক কিছু দর্শনীয় রয়েছে। এখান থেকে এক ঘন্টা দূরত্বে আপার সুমবুকে পৌঁছে দেখা যাবে রডোডেনড্রন, বন্য অর্কিড, পাইন, বন্য স্ট্রবেরী বৃক্ষের বিভিন্নতা এবং 7,000 ফিট উচ্চতায় পাহাড়ের উপরিতলে মুনগ্রাম নামক গ্রামে ভ্রমণ, যেটা ফুল ডিএনএআর নামে জনপ্রিয়। অসংখ্য গ্লাডিওলাস ফার্ম, নতুন নির্মিত মন্দির এবং রঙ্গীত নদীর তীরে বিচরণ, দর্শন ও ভ্রমণ করা যাবে।ফুল ডিএনএআরের উপরে রয়েছে তমলে চুর। এই স্থানটি পাইন, ফার্ন, রডোডেনড্রন, দারূচিনি এবং বন্য স্ট্রবেরী বৃক্ষের উত্তেজনাপূর্ণ সুন্দর দৃশ্য দ্বারা আবৃত। আপার সুমবুকের ভিউ পয়েন্ট থেকে মাউন্ট কাঞ্চনজঙঘার মহনীয় শৈলীর অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দৃষ্টিগোচর হবে। এই অংশের একটি বড় আকর্ষণ তমলে পোখরি নামক একটি হ্রদ। লোয়ার সুমবুকের সন্নিহিত অংশে রয়েছে সিকিমের একমাত্র আখ্যাত কিতম্ বার্ড সেঞ্চুরি নামক একটি অভয়ারন্য। কাছাকাছি সাডাম গ্রামটি তার ভূতাও্বিক বিস্ময়ের জন্য বিখ্যাত। এখানকার 3,500 ফিট উচ্চতায় একটি 1000 ফিট লম্বা শৈলশ্রেনী তারে ভীরের উপর দিয়ে হেঁটে গেলে পর্যটকরা রঙ্গীত নদী, তিস্তা নদী, দার্জিলিং, টেনডং হিল, নাথুলা বা কাঞ্চনজঙঘা দর্শন করতে পারবেন। মার্চ থেকে মে এখানকার সবচেয়ে ভালো সিজেনটাইম।

AkkCrusier

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *