সিকিমের ” ইয়াংতে বা আংতে ” (অফবিট ডেস্টিনেশান) :-
        শিলিগুড়ি এনজেপি থেকে 130 কিমি এবং পেলিং থেকে 9 কিমি দূরত্বে অবস্থিত, প্রায় 6,000 ফিট উচ্চতায় বরফাচ্ছন্ন হিমালয়ান পর্বতমালার অবিস্মরনীয় দৃশ্যের প্রেক্ষাপটে এবং প্রভূত ঘূর্নায়মান হরিতাশ্ম ঘাসযুক্তভূমি দ্বারা প্রকাশিত একটি নির্মল হ্যামলেট হল ইয়াংতে। মহনীয় বরফাবৃত মাউন্ট কাঞ্চনজঙঘা, রাতং, ফ্রে, কাবরু দম, পন্ডিম, নারসিং, তিনচিখং সিনিওলচু এবং প্রশান্ত পরিবেশ – এসব স্তম্ভিতকর দৃশ্য দর্শনের জন্য পশ্চিম সিকিমের এই গন্তব্যটি পর্যটকদের হৃদয় জয় করেছে। এটি পেলিং এর তুলনায় কম নিষ্পিষ্ট অফবিট গন্তব্য। এলপাইন ফরেস্ট, দেবদারূ এবং পাইন বৃক্ষের দ্বারা বেষ্টিত এই গন্তব্যটিতে ভ্রমণ করে প্রচুর মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হবে। মৃদুমন্দ শীতল বাতাসপূর্ণ আবহাওয়ায় সমতল রাস্তা থেকে ধীরে ধীরে খাড়া ঢালযুক্ত রাস্তার মধ্য দিয়ে ভ্রমণ, যখন অনুষঙ্গী হবে গর্জনরত তিস্তা নদী এবং সুউচ্চ পার্বত্য উপত্যকা ।এখানে  কিছু প্রাচীনকালের মনেস্ট্রি রয়েছে। এখানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের একটি জলপ্রপাত চেঞ্জি ফলস্। আরেকটি দর্শনীয় কাঞ্চনজঙঘা জলপ্রপাত রয়েছে এই গন্তব্যটির 30 কিমির মধ্যে। পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন উইসিং হৃদ, কেচুপুরী হৃদ, পশ্চিম সিকিমের গভীর অরন্যের মধ্যে লুকায়িত একটি পবিত্র হৃদ , যা সব রকম ইচ্ছাপূরনের জন্য পরিচিত।ইয়াংতে বা আংতে গন্তব্যটিতে কয়েকটি প্রাচীন মনেস্ট্রি রয়েছে ,যেখানে ভ্রমণ করলে সেই যুগের আর্ট এবং কালচারের পরিচয় মেলে। একটি পুরোনো মনেস্ট্রি পেমায়াংস্তে মনেস্ট্রি ।এই মনেস্ট্রির অনবদ্য ভাস্কর্য এবং দেয়াল চিত্রাঙ্কন পর্যটকদের চাক্ষুষ আনন্দ উপহার দেবে। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে মনেস্ট্রিতে ভ্রমণকারী পর্যটকরা এর একদম কাছে সিকিমের দ্বিতীয় প্রাক্তন রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ স্হানে রাবডান্সা ধর্মীয় চাম নৃত্য প্রদর্শনের সাক্ষী হয়ে থাকবেন। এই অতীতের স্থানটি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতমালা সুন্দরভাবে পরিলক্ষিত হয়। ইয়াংতের চারপাশের অরন্য কিছু অদ্ভুত অর্কিড এবং কিছু হ্রদের দ্বারা অলংকৃত একটি স্বস্তির আদর্শ হলিডে ডেস্টিনেশান। শীতকালে ( অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) এখানে আসার জন্য সবচাইতে ভালো সিজেনটাইম।

AkkCrusier

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *