সিকিমের ” ছালামথাং বা শ্লামথাং ” (অফবিট গন্তব্য) :-
             পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত বরফাচ্ছন্ন নাথুলা শৃঙ্গ এবং তিস্তা নদীর বিমুগ্ধকর প্যানরোমিক দৃশ্য দ্বারা প্রকাশিত দক্ষিণ সিকিমের একটি উত্তেজনাময় পার্বত্য গ্রাম ছালামথাং। এই গ্রামে পর্যটকদের আকর্ষণের প্রাচুর্য রয়েছে। সেগুলো হল – প্রায় 160 বছরের পুরোনো প্রাচীন স্হানীয় গেস্টহাউজ গ্রামের বড়ো আকর্ষণ, এই গ্রাম থেকে একটি সংক্ষিপ্ত প্রমোদভ্রমণ বনজাকরি গুহা, হারে দারা এবং দেউরালি দারা পদব্রজে ভ্রমণ করে উপত্যকার প্যানরোমিক দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে, কাছাকাছি সাইটসিন টেমি টি-গার্ডেন, সোফোলোক, রাবাংলা এবং আরো অনেক কিছু ভ্রমণ করা যাবে। এই গ্রামটি থেকে অনেক প্রমোদভ্রমণ চারদিকে ছড়িয়ে আছে। ফরেস্ট ভ্রমণের মধ্য দিয়ে মিনাম বা মৈনাম হিল এবং টেডং হিল ভ্রমণ, পর্যটকরা তারে ভীরের ক্লিফটপে পৌঁছে তিস্তা ও রঙ্গীত নদীর মাধুর্যপূর্ণ দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। রাবাংলা এবং চারধাম ভ্রমণ করে আইকনিক বুদ্ধ পার্ক এবং ভগবান শিবের বিশালাকার প্রতিকৃতি বা মূর্তি অনুসন্ধান করতে পারবেন। গ্রামটি থেকে প্রায় 30 কিমি দূরত্বের মধ্যে রয়েছে সানড্রুকস বা সামড্রাকস্  বিহার, এই মনেস্ট্রি ভ্রমণ করে 45 মিটার উঁচু গুরু পদ্মাসম্ভাবার গোল্ডেন প্রতিকৃতি দর্শন করা যাবে। টেমি টি-গার্ডেনের প্রশান্ত পরিবেশে চা প্রক্রিয়াকরন পর্যবেক্ষণ করা যাবে।শিলিগুড়ি থেকে এর দূরত্ব প্রায় 98 কিমি। অফবিট গন্তব্য হওয়ার সুবাদে শ্লামথাং বা ছালামথাং হোমস্টে উপহার দেবে তার আগত অতিথিদের সবরকম মৌলিক,আধুনিক এবং আরামদায়ক সুবিধা ।হোমস্টে থেকেই তিস্তা নদী, খালিজ নদী এমনকি স্তম্ভিতকর পর্বতমালা ও দেখতে পাওয়া যাবে। সারা বছরই এখানকার আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা মনোরম এবং আরামদায়ক। তাই বছরের যেকোন সময় এখানে ভ্রমণ করা যাবে, তার মধ্যে শীতকাল অবশ্যই সবচাইতে ভালো।


AkkCrusier

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *