ডুয়ার্সের ” সিকিয়াঝোড়া ” (অফবিট গন্তব্য) :-
          শিলিগুড়ি এনজেপি থেকে এর দূরত্ব প্রায় 175 কিমি। আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা টাইগার রিজার্ভের গভীর আদ্র ফরেস্টের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে খালসদৃশ সিকিয়াঝোড়া নদী। বক্সা টাইগার রিজার্ভ পরিবেশন করছে ভারত ও ভুটানের মাঝখানে হাতির অভিপ্রয়াণ বা দেশান্তরে গমনের জন্য আন্তর্জাতিক করিডোর এবং এটি আটটি আলাদা ফরেস্টের মতো পরিবেষ্টন করা। কয়েক বছর আগে এখানে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের দ্বারা ছোট একটি ড্যাম এবং বাঁধ নির্মিত হয়েছে।আলিপুরদুয়ারের উত্তর পানিয়ালগুড়ির মধ্যে অবস্থিত সিকিয়াঝোড়া ক্যাসকেডিং করছে বক্সা ফরেস্টের ড্যামনাপুর পর্বতমালার  মধ্য দিয়ে। অনেক পর্যটক ডুয়ার্সের এই অনন্য ধারণায় নৌকাভ্রমন বা বোট সাফারী করছে ।বক্সারের এই ফরেস্ট প্রচুর জীববৈচিত্র্য দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত ।এছাড়া দুর্লভ অর্কিডের একটি বড় সংগ্রহ, মেডিসিনাল প্ল্যান্ট ,এখানে রয়েছে। উদ্ভিদকলা উদ্যমশীল ব্যক্তিদের কাছে এই গন্তব্যটি স্বর্গতুল্য। পশ্চিমবঙ্গের টাইগারের সংখ্যার বিচারে এর স্থান দ্বিতীয়। 4 কিমির মতো বোট সাফারীর সময় গভীর আদ্র বক্সার ফরেস্ট দর্শন এবং পাহাড়ী নদীর প্রবাহমান কলকলে আওয়াজ, মিষ্টি সুরেলা পাখির কণ্ঠস্বর এবং ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে কিছু বন্য প্রাণীদের নদীতীরে জলপান করার দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হবে। যেখানে পায়ে হেঁটে বা অন্য কোন উপায়ে ভ্রমণ করা সহজ নয়। 4 কিমির এই নৌকা ভ্রমণের পর পর্যটকদের ওয়াচ্ টাওয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে। সিকিয়াঝোড়ার নদীতীরের উপর নির্মিত এই ওয়াচ্ টাওয়ার থেকে ঘন আদ্র বক্সা ফরেস্টের মধ্য দিয়ে সমগ্র আঁকাবাঁকা পাহাড়ী নদীর হতবাক্ করা প্যানরোমিক দৃশ্য – সিকিয়াঝোড়া পর্যটকদের উপহার দেবে। আরো উপহার দেবে ওয়াচ্ টাওয়ারের আশেপাশের জলাময় এলাকার আদর্শ পরিবেশের মধ্যে 282 এর ও বেশী প্রজাতির পরিযায়ী এবং স্হানীয় প্রজাতির  পাখিদের বিচরনক্ষেত্র , যা পাখি প্রেমীদের কাছে পাখিদের একটি স্বর্গরাজ্য তুল্য মনে হবে ।এটি একটি আদর্শ পিকনিক স্পট হয়ে উঠতে পারে। সবমিলিয়ে এই গন্তব্যটি একটি আদিম বা প্রথমযুগীয় প্রকৃতির মধ্যে পর্যটকদের খোঁজা অবশ্যই দর্শনীয় ডেস্টিনেশান। বর্ষাকাল বাদ দিয়ে অল টাইম এখানকার সিজেনটাইম।

AkkCrusier

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *