সিকিমের ” রিংচিংপং ” (অফবিট গন্তব্য) :-
শিলিগুড়ি থেকে প্রায় 116 কিমি দূরে এবং গ্যাংটক শহর থেকে 35 কিমি দূরে, প্রায় 5576 ফিট উচ্চতায় পশ্চিম সিকিমের বার্সে বা ভার্সের রডোডেনড্রন অভয়ারন্যের অন্তর্গত সিকিমের একটি নবোদিত পর্যটন ডেস্টিনেশান রিংচিংপং। যেটি একটি নিস্তব্ধ উপত্যকা নামেও পরিচিত। সিঙ্গলীলা পর্বতশ্রেণীর বার্সে বা ভার্সের রডোডেনড্রন অভয়ারন্যের অন্তর্গত এই গন্তব্যটিতে নেপালের সাথে পশ্চিমবঙ্গের একটি বর্ডার রয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ হ্যামলেট। ঐতিহাসিক যুদ্ধ এখানে হয়েছে।ঐতিহাসিকমতে ব্রিটিশ সরকার 1860 সালে সিকিমে সৈন্য পাঠিয়েছিল। সিকিমের স্হানীয় অধিবাসী লেপচারা একমাত্র জলের উৎসে অজানা ভেষজ বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল ।ফলে বেশীরভাগই ব্রিটিশ সৈন্য মারা গিয়েছিল। সেই দিন থেকেই হ্রদটি বিখ্পোখরী নামে পরিচিত। এখানকার 1730 সালের নির্মিত রিংচিংপং মনেস্ট্রি খুবই বিখ্যাত। এই দশক থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রায় 6250 ফিট উচ্চতায় অবস্থিত মনেস্ট্রি চা্রমিং রিশ্যাম মনেস্ট্রি পুরোনো মনেস্ট্রি। সিকিমের এই হরিতাশ্ম উপত্যকার মধ্যে পর্যটকরা খুঁজে পাবেন লেপচা স্টাইলে নির্মিত গতানুগতিক লেপচা হাউজ। ঐতিহাসিক যুগের সারসংক্ষেপ এবং রহস্যময় সৌন্দর্য রয়েছে এই রিংচিংপং এ। পর্যটকরা 100 বছরের পুরোনো শুধুমাত্র কাঠ ও পাথর দিয়ে নির্মিত পুরোনো আমলের ব্রিটিশ বাংলোতে থাকতে পারবেন। রিংচিংপং এর উপরের অংশটি গভীর অরন্য দ্বারা বেষ্টিত, যেখানকার উপযুক্ত বাতাবরণে ব্রিটিশ বাংলোর অবস্থান। এখানে বনভোজনের অনেক উপযুক্ত জায়গা রয়েছে। একটি ভ্রমণ গন্তব্য ম্যাগী ধারা থেকে বরফাবৃত হিমালয় পর্বতমালার উপর রক্তিম সূর্যোদয়ের অসাধারণ দৃশ্য দর্শন করা যাবে। রিংচিংপং এর 8 কিমির মধ্যে রয়েছে শ্রীজঙ্ঘা টেম্পল। এখানে রডোডেনড্রন বৃক্ষের লাল ফুলের শোভায় সমগ্র উপত্যকাটি শোভিত হয়ে থাকে। বসন্তকালে (মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল) এবং শীতকালে ( সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ) এখানে আসার জন্য সবচাইতে ভালো সিজেনটাইম।
![](https://www.akkcrusier.com/offbeat/wp-content/uploads/2020/07/ringchingpong.jpg)